ওয়াহ্যাবি মতবাদ কি ও কারা

ওয়াহ্যাবি মতবাদ কি ও কারা
আমাদের দেশে প্রায় শোনা যায় ওয়াহ্যাবি(ওয়াহাবি) মুসলমানের কথা।আমাদের দেশের বিশেষ এক শ্রেণীর কওমী আলেমদেরকে এক শ্রেণীর আলেম ও তাদের অনুসারী সাধারন মুসলমানরা ওয়াহাবী বলে।আর এক শ্রেনীর আলেম নিজেদেরকে সুন্নি বলে পরিচয় দেয়।প্রথমে আমরা জানার চেষটা করি সুন্নি কথাটার অর্থ কি।সাধারন ভাবে বলতে গেলে যারা রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পরিপূর্ণ সুন্নত মেনে চলেন তারাই সুন্নি।


আসল ওয়াহাবি কে এবং কারা?


মুহাম্মদ বিন আব্দুল ওয়াহ্যাব নজদী তেরশ শতাব্দিতে আরবের নজদ নামক প্রদেশে আত্তপ্রকাশ করে।সে ভ্রান্ত আকিদায় বিশ্বাসী ছিল ।সে আহলুসসুন্নাত ওয়াল জামাতের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত থাকত এবং তার নিজ আকিদা ছাড়া অন্য আকিদার মুসলমানদের কাফের হিসাবে আখ্যায়িত করত। ভিন্ন আকিদার মুসলমানদের মাল ধন সম্পদ জোর করে ছিনিয়ে নেওয়াকে হালাল ও তাদের হত্যা করাকে পূণ্যের কাজ বলে ফতো্যা দিত।এই ওয়াহাবীরা তৎকালীন আমলে দলে এত ভারী ছিল যে তাদের হাতে হাজার হাজার খাটি মুসলমান শহিদ হয়েছিল।তাদের অত্যাচারে তৎকালীন সময়ে মক্কা মদিনার অনেক মুসলমান পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছিল।সেই থেকে আরব দেশসহ অন্যান্য মুসলিম দেশে ওয়াহাবী ও তার অনুসারীদের কঠোর সমালোচনা করা হয় ও ঘৃনা চোখে দেখা হয়।

ওয়াহাবীদের আকিদা বা মুলনীতি।


১/ওয়াহাবীরা এই আকিদা পোষন করে যে নবী রসুল গনের জীবন শুধু মাত্র ইহকাল পর্যন্ত সীমিত মৃত্যুর পর ওনারা অন্যান্য সাধারন মুসলমানদের মত কবরে বিলীন হয়ে যায়।(নাউযুবিল্লাহ)

তারা নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সম্পর্কে আজেবাজে কথা বলে যা ভাষায় প্রকাশ করা অসম্ভব।



২/ওরা নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে নিজেদের সমকক্ষ মনে করে।নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে শুধু মাত্র তাবলীগের কাজে পাঠানো হয়েছে।(নাউযুবিল্লাহ)



৩/নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের রওজা মোবারক জিয়ারত করাকে বিদাআত ও হারাম বলে মনে করে।



৪/ এরা রাসুল করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে গায়েবী সালাম আস্সালাতু আস্সালামু আলাইকা বলা কে শিরক ও হারাম মনে করে।



৫/এরা মনে করে নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কেবল শরিয়তী ইলম জানা ছিল বাতেনী ইলম জানতেন না।নাউযুবিল্লাহ।



৬/আত্তসুদ্ধি, সুফিয়াকেরামদের নিয়ম নীতি ,মুরাকাবা, পীর মুরিদিকে নাজায়েজ ও হারাম বলে।



৭/এরা নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি দুরুদ সালাম দালায়েলুল, কাছিদাবুরদা পাঠানো অপছন্দনীয় কাজ বলে মনে করে।



৮/এরা নবীগন ও আউলিয়াগনের জীবন বৃত্তান্ত আলোচনাকে খারাপ মনে করে


৯/ওয়াহাবীরা নিজেদের আকিদা ছাড়া অন্য আকিদার লোকদের কাফের বলে সম্বোধন করে।



১০/তারা অন্য আকিদার মুসলমানদের মাল সম্পদকে গনিমতের মাল মনে করে এবং তাদের ধন সম্পদ কেড়ে নেওয়াকে হালাল মনে করে।



আমাদের দেশে মাদ্রাসা শিক্ষার দুটি ধারা আছে একটি আলিয়া আরেকটি কওমী।আলিয়া মাদ্রাসা সম্পূর্ণ সরকারি অনুদানে পরিচালিত হয়।ওখানে সরকার নির্দেশিত সিলেবাস অনুযায়ি পড়ানো হয়।আর কওমি মাদ্রাসা সম্পূর্ণ জনগনের সহযোগিতায় পরিচালিত তাই এই মাদ্রাসাগুলি নিজস্ব সিলাবাসে পাঠদান করে।( মাদ্রাসা শিক্ষা দুই ধারা বিভক্ত হওয়ার ইতিহাস আছে তা ইনশাআল্লাহ অন্য সময় আলোচনা করব)।আমাদের দেশের এক শ্রেণীর আলেম এই কওমী আলেমদেরকে ওয়াহাবী বলে সম্বোধন করে।কিন্ত বাস্তবে দেখা যায় এই কওমী আলেমরা বর্তমানে সবচেয়ে বেশি সুন্নত পালন করেন।ওয়াহাবী আকিদার একটি আকিদাও কওমী আলেমদের মাঝে নাই।রাসুল করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে ভালবাসার ব্যাপারে এবং উনার সুন্নত পরিপূর্ণ ভাবে পালনের ব্যাপারে কওমী আলেমগন সবচেয়ে বেশি অগ্রগামী।উনারা শুধু বাহ্যিক গত (পোষাক ,দাড়ি, কথা-বার্তা ইত্যাদি) সুন্নত নয় আভ্যন্তরীন (খাওয়া দাওয়া, ঘর-সংসার, তাহাজ্জুদের নামায ইত্যাদি) সুন্নতের ব্যাপারেও খুবই যত্নবান।কওমী আলেমগন বেশির ভাগই খুব সাধারন জীবন যাপন করেন।তারা রাসুলে করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কোন ব্যাপার নিয়ে বাড়াবাড়ি করেন না।ঠিক যতটুকু হাদিসে পাকে আছে ততটুকুই পালন করেন।নিজ হতে কোন কিছু বাড়ানোকে বিদাআত ও কোন কিছু কমানোকে হারাম মনে করেন।

{সুত্রঃ প্রসংগঃওয়াহ্যাবী কারা/ লেখকঃহযরত আল্লামা শাঃ আহমদ শফী (দাঃ বাঃ)/ মাসিক মইনুল ইসলাম/ নভেম্বর- ২০০৮ }ফ



আমাদের দেশে প্রায় শোনা যায় ওয়াহ্যাবি(ওয়াহাবি) মুসলমানের কথা।আমাদের দেশের বিশেষ এক শ্রেণীর কওমী আলেমদেরকে এক শ্রেণীর আলেম ও তাদের অনুসারী সাধারন মুসলমানরা ওয়াহাবী বলে।আর এক শ্রেনীর আলেম নিজেদেরকে সুন্নি বলে পরিচয় দেয়।প্রথমে আমরা জানার চেষটা করি সুন্নি কথাটার অর্থ কি।সাধারন ভাবে বলতে গেলে যারা রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পরিপূর্ণ সুন্নত মেনে চলেন তারাই সুন্নি।

আসল ওয়াহাবি কে এবং কারা?

মুহাম্মদ বিন আব্দুল ওয়াহ্যাব নজদী তেরশ শতাব্দিতে আরবের নজদ নামক প্রদেশে আত্তপ্রকাশ করে।সে ভ্রান্ত আকিদায় বিশ্বাসী ছিল ।সে আহলুসসুন্নাত ওয়াল জামাতের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত থাকত এবং তার নিজ আকিদা ছাড়া অন্য আকিদার মুসলমানদের কাফের হিসাবে আখ্যায়িত করত। ভিন্ন আকিদার মুসলমানদের মাল ধন সম্পদ জোর করে ছিনিয়ে নেওয়াকে হালাল ও তাদের হত্যা করাকে পূণ্যের কাজ বলে ফতো্যা দিত।এই ওয়াহাবীরা তৎকালীন আমলে দলে এত ভারী ছিল যে তাদের হাতে হাজার হাজার খাটি মুসলমান শহিদ হয়েছিল।তাদের অত্যাচারে তৎকালীন সময়ে মক্কা মদিনার অনেক মুসলমান পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছিল।সেই থেকে আরব দেশসহ অন্যান্য মুসলিম দেশে ওয়াহাবী ও তার অনুসারীদের কঠোর সমালোচনা করা হয় ও ঘৃনা চোখে দেখা হয়।


{সুত্রঃ প্রসংগঃওয়াহ্যাবী কারা/ লেখকঃহযরত আল্লামা শাঃ আহমদ শফী (দাঃ বাঃ)/ মাসিক মইনুল ইসলাম/ নভেম্বর- ২০০৮ }



শিয়া-সুন্নি বিরোধ কেন? শিয়ারা কি আসলেই প্রকৃত মুসলিম?

শিয়া-সুন্নি বিরোধ কেন? শিয়ারা কি আসলেই প্রকৃত মুসলিম?
প্রশ্ন: আমার প্রশ্ন হলো সুন্নি-শিয়াদের মধ্যে কেন এত বিরোধ লেগে থাকে? আর আমি অনেকের কাছেই শুনেছি- শিয়ারা রাসূল (সা.)কে নবী হিসেবে স্বীকার করেন না, তাহলে ব্যাপারটা কেমন হয়ে গেল না? আল্লাহর পরেই তো রাসূলকে সম্মান করতে হবে? শিয়ারা কি আসলেই প্রকৃত মুসলিম?
রেডিও তেহরানের ফেসবুক গ্রুপে এ প্রশ্নটি করেছেন মাহমুদুল হাসান খান





উত্তর: আপনার প্রশ্নগুলোর জন্য ধন্যবাদ। আসলে পবিত্র কুরআন ও হাদিসের বর্ণনাগুলোর ব্যখ্যা নিয়ে মতভেদের কারণেই মুসলমানদের মধ্যে নানা মাজহাব বা মতবাদ সৃষ্টি হয়েছে। এটি সব ধর্মের মধ্যেই দেখা যায়। এ জাতীয় মতভেদ কেবল তর্ক বা মত-বিনিময়ের পর্যায়ে সীমিত থাকলেই তা স্বাভাবিক বলে বিবেচিত হয়। কিন্তু এ নিয়ে সহিংসতা ও দাঙ্গা-হাঙ্গামা সব পক্ষের জন্যই ক্ষতিকর বলে এ ব্যাপারে মুসলমানদের সতর্ক থাকা উচিত। কারণ, পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে, তোমরা সবাই মিলে আল্লাহর রশি বা রজ্জুকে আঁকড়ে ধর এবং পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ো না। 



আসলে শিয়া ও সুন্নি মুসলমানদের মধ্যে কিছু কিছু বিষয়ে মতভেদ থাকলেও অনেক মৌলিক বিষয়েই রয়েছে মতের মিল। যেমন, উভয় মাজহাবই এক আল্লাহ, অভিন্ন ধর্মগ্রন্থ তথা পবিত্র কুরআন এবং বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.)-কে সর্বশেষ নবী হিসেবে মানেন। উভয় মাজহাবই পরকালের প্রতি তথা পুনরুত্থান ও বিচার দিবসের প্রতি বিশ্বাস, নামাজ, রোজা, হজ, যাকাত ও নারীদের পর্দা করা ফরজ হওয়ার বিষয়সহ আরো অনেক বিষয়েই একমত। এইসব বিষয়ের খুঁটিনাটি দিকে কিছু মতভেদ রয়েছে যা সুন্নি ভাইদের চার মাজহাবের মধ্যেও রয়েছে।



তবে শিয়া ও সুন্নি মাজহাবের মধ্যে মতবিরোধের একটা দিক হলো- বিশ্বনবী (সা.)'র পর তাঁর স্থলাভিষিক্ত তথা খলিফা বা প্রতিনিধি নিয়োগ নিয়ে। সুন্নি ভাইয়েরা মনে করেন এ বিষয়টি আল্লাহর সর্বশেষ রাসূল মুসলমানদের ওপরই ছেড়ে দিয়েছেন এবং সাহাবাগণ নির্বাচন পদ্ধতিতে খলিফা নির্বাচন করেছেন।

অন্যদিকে শিয়া মুসলমানরা মনে করেন, বিশ্বনবী (সা.)'র স্থলাভিষিক্ত তথা খলিফা বা প্রতিনিধি নিয়োগের বিষয়টি মহান আল্লাহই নির্ধারণ করেন ও তা রাসূল (সা.)-কে জানিয়ে দেন। আর এরই ভিত্তিতে হযরত আলী (আ.) এবং এরপর তাঁর বংশধরগণ ছিলেন মুসলমানদের প্রকৃত খলিফা।



তবে শিয়াদের সম্পর্কে একটি মারাত্মক মিথ্যা অভিযোগ তথা অপবাদ হলো তারা বিশ্বনবী মুহাম্মাদ (সা.)-কে  নবী বা শেষ নবী হিসেবে স্বীকার করেন না। বরং শিয়া মুসলমানরাও সুন্নি ভাইদের মতই মনে করেন যে, বিশ্বনবী (সা.)'র পর আর কোনো নবী আসবেন না এবং যারাই এ বিশ্বাস পোষণ করবে না তারা মুসলমান হিসেবে স্বীকৃত হবে না।



আমিরুল মু'মিনিন আলী (আ.)'র ভাষণ ও বক্তৃতামালার সংস্করণ 'নাহজুল বালাগ্বা' শিয়াদের জন্য শীর্ষস্থানীয় প্রামাণ্য বই। আল্লাহ ও বিশ্বনবী (সা.)'র বাণীর পরই এ বইকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেন তারা। আবার সুন্নি মুসলমানের কাছেও এটি একটি নির্ভরযোগ্য প্রামাণ্য বই। এ বইয়ে স্বয়ং আলী (আ.) থেকে বার বার বলা হয়েছে যে রাসূল (সা.) ছিলেন সর্বশেষ নবী। দৃষ্টান্ত হিসেবে এ বইয়ে উল্লেখিত আলী (আ.)'র ৭১ ও ২৩৩ নম্বর খোতবা দেখুন (সাইটে এ দুই খোতবার ফটোকপি সংযুক্ত করা হল)।  তাই শিয়ারা রাসূল (সা.)-কে নবী ও রাসূল বলে মানেন না- এমন দাবি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং ইসলামের শত্রুদের পক্ষ থেকে প্রচারিত একটি অপবাদ।



শিয়া মুসলমানরা যে কোনো সমাবেশে কিংবা একা থাকলেও বিশ্বনবী (সা.)'র পবিত্র নাম শোনার সঙ্গে সঙ্গে দরুদ পাঠ করে সম্মান প্রদর্শন করেন তাঁকে ও এমনকি তাঁর আহলে বাইতকেও। 

 এ ছাড়াও শিয়া মুসলমানরা বিশ্বনবী (সা.)'র নবুওত প্রাপ্তির দিবসকে উৎসব হিসেবে পালন করে থাকেন।



শিয়া ও সুন্নি মুসলমানদের মধ্যে কোনো কোনো বিষয়ে মতভেদ থাকলেও তারা যুগ যুগ ধরে পরস্পরের সঙ্গে শান্তিতে বসবাস করে এসেছে। তাদের মধ্যে বড়জোর জ্ঞানগত তর্ক-বিতর্ক বা যুক্তি বিনিময় হতো। আসলে ইসলামের শত্রুরাই মুসলমানদের মধ্যে অনৈক্য সৃষ্টির জন্য শিয়া ও সুন্নিদের মধ্যে সহিংস দাঙ্গা বাধানোর জন্য সুন্নি নামধারী একদল ওয়াহাবিকে উস্কে দিয়েছে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে। এই ওয়াহাবিদের দৃষ্টিতে সুন্নিদের চার মাজহাবের তিন মাজহাবের ইমামগণ এবং তাদের অনুসারীরাও কাফির ও হত্যার যোগ্য! আপনারা হয়তো জানেন যে ভারত বর্ষে মোঘল শাসকদের অনেকেই ছিলেন শিয়া মুসলমান। নবাব সিরাজউদদৌলাও ছিলেন শিয়া মুসলমান। দানবীর ও ভারত বর্ষে মুসলমানদের মধ্যে শিক্ষা বিস্তারের জন্য সবচেয়ে বেশি সম্পদ ওয়াকফকারী মহান ব্যক্তিত্ব হাজি মুহাম্মাদ মুহসিন ছিলেন একজন শিয়া মুসলমান। ভারতবর্ষ ও মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের নানা অঞ্চলে শিয়া ও সুন্নি মুসলমানরা ঐক্যবদ্ধভাবে সাম্রাজ্যবাদী ব্রিটেনসহ উপনিবেশবাদী কাফির শক্তিগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করেছে।



বর্তমান যুগে ইহুদিবাদী ইসরাইলের অপরাধযজ্ঞ থেকে মুসলমানদের দৃষ্টি আড়াল করতে এবং মুসলমানদের মধ্যে অনৈক্য ও বিভেদ উস্কে দিয়ে তাদেরকে সহজেই শোষণ করার জন্য দেশে দেশে শিয়া-সুন্নি বিভেদ উস্কে দেয়ার চেষ্টা করছে সাম্রাজ্যবাদীরা।

সাম্প্রতিক সময়ে ইরাক ও সিরিয়ায় এ ধরনের তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে আলকায়দা বা আইএসআইএল-এর ওয়াহাবি সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে। কিন্তু এই দুই দেশের শিয়া ও সুন্নি আলেমগণ ঐক্যবদ্ধভাবে ওয়াহাবি ও বিজাতীয় শক্তিকে মোকাবেলার আহ্বান জানানোর পর সন্ত্রাসীরা শিয়া ও সুন্নি মুসলমানদের সম্মিলিত শক্তির কাছে কোণঠাসা হয়ে পড়েছে।



ইরানের ইসলামী বিপ্লবের মহান রূপকার ইমাম খোমেনী (র.)ও বলেছেন, যারা মুসলমানদের মধ্যে শিয়া-সুন্নির নামে অনৈক্য সৃষ্টি করে তারা শিয়াও নয়, সুন্নিও নয়, বরং সাম্রাজ্যবাদীদের দালাল। #              





 রেডিও তেহরান/এএইচ/এআর/১৮

গ্রামীণফোনে পাচ্ছেন ইমার্জেন্সি ইন্টারনেট ব্যালেন্স!

গ্রামীণফোনে পাচ্ছেন ইমার্জেন্সি ইন্টারনেট ব্যালেন্স!
আপনার গ্রামীণফোন মোবাইলের ডেটা এবং একাউন্টের ব্যালেন্স শেষ হয়ে গেছে? জরুরী ভিত্তিতে ইন্টারনেট এক্সেস করা দরকার? এবার জিপি নিয়ে এলো ইমার্জেন্সি ইন্টারনেট ব্যালান্স সার্ভিস যার মাধ্যমে জরুরী মুহুর্তের প্রয়োজন মেটানোর জন্য লোন পাবেন ১০ মেগাবাইট ডেটা। এক্ষেত্রে *১০১০*২# ডায়াল করলেই পাচ্ছেন ১০ এমবি ইন্টারনেট!



শর্তাবলি

*১০১০*২# ডায়াল করলেই পাচ্ছেন ১০ এমবি ইমার্জেন্সি ইন্টারনেট ব্যালান্স
এই সার্ভিসটি শুধুমাত্র গ্রামীণফোন প্রিপেইড গ্রাহকদের জন্য প্রযোজ্য
অফারটি নিতে গ্রাহককে *১০১০*২# ডায়াল করতে হবে
এই অফারটি নেওয়ার জন্য গ্রাহকের একাউন্ট-এ ব্যালান্স ১ টাকা বা তার চেয়েও কম থাকতে হবে এবং কোনো ডেটা ভলিউম থাকা যাবে না
রিচার্জ-এর ক্ষেত্রে ভয়েস ইমার্জেন্সি ব্যালান্স-এর প্রাপ্য টাকা আগে কাটা হবে। দুটো ইমার্জেন্সি ব্যালান্স-এর প্রাপ্য টাকা কাটার পরই কেবল গ্রাহক প্রধান একাউন্ট-এ ব্যালান্স পাবেন
এই ১০ এমবি ডাটা’র মূল্য ৫ টাকা। লোন এর মেয়াদ ২ দিন। ডেটার মূল্য গ্রাহকের পরবর্তী রিচার্জ থেকে কাটা হবে।
৫ টাকার মধ্যে ৩% সম্পূরক শুল্ক এবং সম্পূরক শুল্কসহ মূল্যের উপর ১৫% ভ্যাট অর্ন্তভুক্ত
আরও জানতে ১২১ এ কল করুন।

বাঘে-ছাগলে বন্ধুত্ব!

বাঘে-ছাগলে বন্ধুত্ব!
রাশিয়াতে দুই প্রজাতির প্রাণীর মধ্যে এমন এক ঘটনা ঘটেছে যা হয়তো কেউ চিন্তাও করতে পারবেনা । প্রায় এক মাস আগে রাশিয়ার একটি সাফারি পার্কে আমুর নামের একটি বাঘকে খাবার হিসেবে দেওয়া হয়েছিল একটি জ্যান্ত ছাগল। 




কিন্তু ওই ছাগলকে না খেয়ে বাঘটি তার সঙ্গে বন্ধুত্ব পেতে বসেছে। এখন আমুর নামের ওই বাঘ ও তিমুর নামের ওই ছাগলটি পরস্পরের সবচেয়ে কাছের বন্ধু। এমনকি বন্ধু ছাগলের জন্য নিজের ঘুমানোর জায়গাটিও ছেড়ে দিয়েছে বাঘটি। ওই চিড়িয়াখানায় আমুর ও তিমুর অর্থাৎ বাঘ ও ছাগল এখন বিভিন্ন স্থানে একসঙ্গেই ঘুরে বেড়ায়। একসাথে ঘুমায়। বাঘে-ছাগলে বন্ধুত্ব!

চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ এখন এই বাঘ ও ছাগলকে একসঙ্গেই রাখছে। চিড়িয়াখানায় আসা দশনার্থীরা অবাক হচ্ছেন হিংস্র পশু বাঘের সঙ্গে ছাগলকে ঘুরতে দেখে। বাঘে-ছাগলের বন্ধুত্বের ভক্ত হয়ে গেছেন অনেকে। তারা রীতিমতো এদের কর্মকান্ড পর্যবেক্ষণ করছেন। ওয়েবক্যামের মাধ্যমে দর্শনার্থীরা সরাসরি দেখছেন এই বিরল বন্ধুত্বের দৈনিক কর্মকান্ড। এই দুজনের নামে ফেইসবুক, টুইটার ও ইনস্টাগ্রামে খোলা হয়েছে অ্যাকাউন্ট। বাঘে-ছাগলে বন্ধুত্ব!


তিন বছর ধরে চিড়িয়াখানায় থাকা আমুর বাঘকে সপ্তাহে দুইবার জ্যান্ত ছাগল খেতে দিতে হতো চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষকে। বিবিসির মস্কো সংবাদদাতা সারাহ রেইনসফোর্ড ওই চিড়িয়াখানার পরিচালক দিমিত্রি মেজেনস্তেভের সাথে কথা বলেছিলেন। মি: মেজেনস্তেভ বলছিলেন “প্রায় তিন বছর ধরে আমুর এই চিড়িয়াখানায় আছে। সপ্তাহে দুইদিন তাকে ছাগল খেতে দিতে হতো। আমরা একদিন তাকে তিমুর নামের ওই ছাগলকে খেতে দিই। কিন্তু চারদিন পর দেখি বাঘটি তিমুরকে খায়নি। এটা খুবই বিস্ময়কর একটা ঘটনা”। বাঘে-ছাগলে বন্ধুত্ব!

বাঘটি তিমুর নামের ছাগলটিকে চার দিনেও খায়নি, এখনও তারা একসঙ্গেই থাকে। “বাঘটা এতটা ক্ষুধার্ত ছিল সে কয়েক সেকেন্ডে তিমুরকে খেয়ে ফেলতে পারতো। কিন্তু এটা তিমুরেরই সাহসিকতা সে বাঘটির সঙ্গে বন্ধুত্ব পেতেছে। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছে এদেরকে আলাদা করবোনা, একসাথেই রাখবো”-বলেন চিড়িখানার পরিচালক দিমিত্রি মেজেনস্তেভ। তিনি আরও বলেন “এদের সম্পর্ক দেখে মানুষেরও শেখার কিছু রয়েছে । বিশ্বে যেসব যুদ্ধ হানাহানি চলছে, মানুষ যদি মানবিক হতে শেখে তাহলে নিরীহ প্রাণগুলো বেঁচে যেত”।

গোসলে সাবান ব্যবহার শরীরের জন্য ক্ষতিকর !

গোসলে সাবান ব্যবহার শরীরের জন্য ক্ষতিকর !

আপনি রোজ গোসল করেন অনেকটা সময় ধরে। রোজ গায়ে দামি অথবা মাঝারি দামের সাবানও মাখেন?


এই নিয়ে আপনার গর্বের শেষ নেই? সবার মাঝে ফলাও করে বলেন, আপনি কত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন?

আপনি ভাবেন এর জন্য আপনার ত্বক কত ভাল থাকবে? আপনি কত সুন্দর এবং টানটান হয়ে থাকবেন অনেক বয়স পর্যন্তও!

এক দম ভুল ভাবছেন। ইউরোপের ডাক্তাররা কিন্তু একেবারে ভিন্ন সুরে কথা বলছেন।

তাদের বক্তব্য, গোসল রোজ করছেন এটা খুবই ভাল। কিন্তু যে সাবান দিয়ে আপনি রোজ ঘসে ঘসে গা পরিষ্কার করছেন, চকচকে হচ্ছেন, সেটা কিন্তু মোটেই ভাল নয়।

সাবান মানেই ক্ষার। সেটা কম মাত্রা অথবা বেশি মাত্রা হতে পারে। কিন্তু রোজ আপনার শরীরে খার গেলে তা আপনার শরীরকে মোটেই চিরকাল ভাল রাখবে না। যার সুফল আজ টের পাচ্ছেন, তার অনকে বেশি কুফল কাল টের পেতে চলেছেন।

তাদের পরামর্শ গায়ে মাটি মাখুন। ত্বক আজও ভাল থাকবে। আগামীতেও ভাল থাকবে। মাটির থেকে ভাল গায়ে মাখার আর কিছু নেই। কিন্তু আপনি কি এখনই এসব মানবেন?

পাসওয়ার্ড হ্যাক হলেও ফেসবুক আইডি কখনো হ্যাক হবেনা !

পাসওয়ার্ড হ্যাক হলেও ফেসবুক আইডি কখনো হ্যাক হবেনা !
বর্তমান সময়ে ফেসবুক এখন অনেক স্পর্শকাতর বিষয় অনেকের জন্য। নানা ধরনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে সমৃদ্ধ আপনার ফেসবুক একাউন্টটি যদি হ্যাক হয়ে যায় আপনার এর থেকে বড় বিপদ আর কি হতে পারে বলুন? হ্যা আজ জানবেন কিভাবে আপনি আপনার ফেসবুক পাসওয়ার্ড হ্যাক হলেও আইডি রক্ষা করতে পারবেন।


– আপনার ফেসবুকের পাসওয়ার্ড যদি সবাই জেনে যায়, তাহলেও কেউ আপনার অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করতে পারবে না। অবিশ্বাস্য মনে হচ্ছে? না এটি বাস্তব, তবে এর জন্য প্রথমে আপনাকে যা করতে হবে, ফেসবুকে লগইন করে ওপরে ডান পাশে Home এর পাশে অ্যারোতে ক্লিক করে Account Settings-এ ক্লিক করুন।

– এবার এখানে বাঁ পাশ থেকে ক্লিক করুন। এখন এর ডান পাশ থেকে ক্লিক করুন। তারপর এই ঘরে টিক চিহ্ন দিন। টিক চিহ্ন দেয়ার সময় নতুন একটি বার্তা এলে ক্লিক করুন।

– এখন বক্সে আপনার মোবাইল নম্বর লিখে Continue তে ক্লিক করুন।

– আপনার মোবাইলে একটি কোড নম্বর আসবে। কোড নম্বরটি কোড বক্সে লিখে Submit Code বাটনে ক্লিক করে Close-এ ক্লিক করুন।

– Login Notifications-এর ডান পাশ থেকে edit-এ ক্লিক করে Email এবং Text message বক্সেও টিকচিহ্ন দিয়ে Save-এ ক্লিক করে রাখতে পারেন। এতে ইমেইলে আপনার কোড সেন্ড হবে।

– এখন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট লগআউট করে পুনরায় আবার ফেসবুকে লগইন করুন। দেখবেন Name New Device নামে একটি পেজ এসেছে। সেখানে Device name বক্সে কোনো নাম লিখে Save Device-এ ক্লিক করুন।

ব্যাস হয়ে গেলো! এখন থেকে থেকে প্রতিবার আপনার কম্পিউটার ছাড়া অন্য কারও কম্পিউটার থেকে আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লগইন করতে চাইলে আপনার মোবাইলে একটি কোড নম্বর আসবে এবং সেই কোড নম্বরটি কোড বক্সে লিখে Continue তে ক্লিক করলেই আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করা যাবে। কাজেই আপনার ফেসবুকের পাসওয়ার্ড সবাই জানলেও কেউ আপনার ফেসবুকে লগইন করতে পারবে না।

পাসওয়ার্ড জানলেও আর হ্যাক হবে না আপনার মুল্যবান জিমেইল অ্যাকাউন্ট !

পাসওয়ার্ড জানলেও আর হ্যাক হবে না আপনার মুল্যবান জিমেইল অ্যাকাউন্ট !


জিমেইলের পাসওয়ার্ড যদি সবাই জেনে যায়, তাহলেও কেউ চাইলেও আপনার অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করতে পারবে না। এর জন্য প্রথমে জিমেইল লগইন করে ওপরে ডানপাশে আপনার ছবির আইকনে ক্লিক করে তারপর My Account-এ ক্লিক করুন বা সরাসরি https://myaccount.google.com ঠিকানায় যান। তারপর Sign-in & security-তে ক্লিক করুন। নতুন পেজ এলে একটু নিচে ডানপাশে 2-step verification: off-এ ক্লিক করুন।


তারপর Start Setup বাটনে ক্লিক করুন। পুনরায় আবার লগ-ইন করার পেজ এলে লগইন করুন। এখন Phone number: বক্সে আপনার মোবাইল নম্বর লিখে Send Code বাটনে ক্লিক করুন। আপনার মোবাইলে একটি কোড নম্বর আসবে। কোড নম্বরটি কোড বক্সে লিখে Verify-এ ক্লিক করুন। এখন Next-এ ক্লিক করুন। তারপর Confirm-এ ক্লিক করুন।

এখন থেকে প্রতিবার আপনার কম্পিউটার ছাড়া অন্য কোনো কম্পিউটার থেকে আপনার জিমেইল অ্যাকাউন্টে লগইন করতে চাইলে আপনার মোবাইলে একটি কোড নম্বর আসবে এবং সেই কোড নম্বরটি কোড বক্সে লিখে Verify-এ ক্লিক করলেই আপনার জিমেইল অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করা যাবে। আপনার ফোন নম্বর যদি হারিয়ে ফেলেন, তাহলে যেকোনো সময় আপনার কম্পিউটার থেকে জিমেইলে লগইন করে ফোন নম্বর পরিবর্তন করতে পারবেন বা এই সুবিধা বাদ দিতে পারবেন।

অনেক সময় মোবাইলে এসএমএসের সাহায্যে কোড আসতে দেরি হতে পারে। এ জন্য চাইলে Google Authenticator নামের একটি অ্যাপ নামিয়ে নিতে পারেন। এসএমএসে কোডের বাইরে এ অ্যাপে ৩০ সেকেন্ড পরপর একটি কোড আসবে। সেটি দিয়েও চাইলে Verify করতে পারবেন। তবে আপনি এসএমএস কোড না অ্যাপের মাধ্যমে আসা কোড ব্যবহার করবেন, তা শুরুতে নির্বাচন করে নিতে হবে। অ্যাপটি অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস দুই সংস্করণেই পাওয়া যাবে।