ফেসবুকে তারকা হতে চান? এজন্য আপনাকে যা করতে হবে!

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে ফেসবুক এখন সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় এবং ইতোমধ্যে এটি গুগলকে পেছনে ফেলে এলেক্সা রাংঙ্কিংয়ে এক নম্বরে চলে এসেছে। ফেসবুকের ডিজাইন এমনভাবে করা হয়েছে যে ব্যবহারকারীরা খুব সহজে এটা ব্যবহার করতে পারবেন। ফেসবুকে নিজের পরিচিতি বাড়াতে আপনি কী করে থাকেন? একটার পর একটা ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠিয়ে লাগাম ছাড়া বন্ধুর তালিকা তৈরি করেন। না কি সমস্ত বন্ধুর সঙ্গে লাগাতার চ্যাট করেই সারাটা দিন কাটিয়ে দেন। মনে মনে হয়তো ভাবছেন আপনার হাজারো বন্ধুর কাছে এতেই আপনি মোস্ট ফেমাস। কিন্তু মোটেও তা নয়। বরং অপরিচিত বন্ধুদের সঙ্গে অহেতুক চ্যাট করেন বলে আপনার পিছনে বন্ধুরা আপনাকে নিয়ে হাসাহাসি করে, সেই সুযোগটাই বেশি। ফেসবুকে জনপ্রিয় হতে চাইলে মাথায় রাখতে হবে বেশ কিছু জিনিস।

ফেসবুক তারকা হয়ে ওঠার জন্য এগুলো আপনাকে মেনে চলতেই হবে


১. ভেবেচিন্তে বন্ধুত্ব করুন


সুন্দর প্রোফাইলের কাউকে খুঁজে পেলেন, আর অমনি তাঁকে বন্ধু বানানোর সংকল্প নিয়ে নিলেন। সেই মহিলা বা পুরুষ আপনার বন্ধুত্বের অনুরোধ গ্রহণ না করা পর্যন্ত আপনিও ছাড়ার পাত্র নন। একবারে না হলে বারবার অনুরোধ পাঠাতেই থাকেন? এতে কিন্তু হিতে বিপরীত হয়। জনপ্রিয় হওয়ার চেষ্টায় আপনি মজার খোরাক হয়ে উঠতে পারেন।

২. শুধুমাত্র লাইকই যথেষ্ট নয়


অনেকেই আছেন যাঁরা বন্ধুদের সমস্ত পোস্টেই লাইক দেন। এমনকী যদি পোস্ট মনের মতো না-ও হয়। এর থেকে ভাল হতো পোস্টটির সম্পর্কে নিজের মতামত জানালে। এতে যেমন আপনার চিন্তা ভাবনা বন্ধুদের সামনে তুলে ধরতে পারবেন। তেমন বন্ধুরাও খুশি হবেন।

৩. গুরুত্বপূর্ণ তথ্যও বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করুন


কোথায় কোন ফিল্মটা চলছে বা কোন দেশে সন্ত্রাস হামলা চলছে। নিজেকে আপ টু ডেট রাখার সঙ্গে ফেসবুকে বন্ধুদেরও খবর জানাতে থাকুন। পোস্টে লিখে দিন সেই বিষয়ে আপনার মতামতও। এতে জনপ্রিয়তা বাড়তে বাধ্য। তবে অবশ্যই বেশ কিছু বিতর্কিত বিষয়ে মন্তব্য এড়িয়ে চলাই ভাল।

৪. প্রোফাইল পিকচার নির্বাচনের আগে ভাবুন


আপনার প্রথম আকর্ষণ কিন্তু আপনার প্রোফাইল পিকচার। নিজেকে কেমন ভাবে উপস্থাপন করতে চান তা অনেকটাই কিন্তু নির্ভর করে এই প্রোফাইল পিকচারের উপরে। তাই এই ক্ষেত্রে একটু ভেবেচিন্তে বাছাই জরুরি।

৫.অন্যের সাহায্যে এগিয়ে আসুন


বন্ধু হোক বা পরিচিত— বিপদে তাঁদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করুন। যেমন, কারও যদি জরুরিকালীন রক্তের প্রয়োজন হয়। ফেসবুকে সেই বার্তা বন্ধুদের জানান। বন্ধুদের মধ্যে থেকেই দাতা পেয়ে যাবেন। আর বিপদে অন্যের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সাবাসিও পাবেন।

৬. অবশ্যই যেটা করতে ভুলবেন না


সবই তো হল। বন্ধুর জন্মদিন বা বিবাহ বার্ষিকীকে অভিনন্দনটাও জানিয়ে ফেলেছেন তো। তা না করলেই কিন্তু সারা বছর এত খাটাখাটুনির পুরোটাই মাটি। বন্ধুদের অভিনন্দন জানানোটা কিন্তু জরুরী। তাহলে আর দেরি কিসের? আজ থেকেই মেনে চলুন আর ফেসবুক জনপ্রিয় হয়ে যান।

শেয়ার করুন

লেখকঃ

পূর্ববর্তী পোষ্ট
পরবর্তী পোষ্ট